ঊষা মার্টিন ইউনিভার্সিটিকে NAAC-এর A গ্রেড ︱Usha Martin University Bags NAAC 'A' Grade with Highest Score in Bihar-Jharkhand

ঊষা মার্টিন ইউনিভার্সিটিকে NAAC-এর A গ্রেড ︱Usha Martin University Bags NAAC 'A' Grade with Highest Score in Bihar-Jharkhand

নিউজ অফবিট ডিজিটাল ডেস্কঃ ঝাড়খণ্ডের ঊষা মার্টিন ইউনিভার্সিটি এবার ইতিহাস গড়ল। বিহার-ঝাড়খণ্ড মিলিয়ে প্রথমবারের মতো কোনো বিশ্ববিদ্যালয় পেল NAAC-এর ‘A’ গ্রেড, তাও আবার ৩.১৭-এর অসামান্য স্কোর নিয়ে। ২০২৫ সালের ১৯ থেকে ২১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত জাতীয় মূল্যায়ন ও স্বীকৃতি পরিষদ (NAAC)-এর পিয়ার টিম তিন দিনের সফরে বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শন করে। পাঠ্যক্রম, পড়াশোনার মান, গবেষণা, পরিকাঠামো, ছাত্র-সমর্থন, প্রশাসন, সামাজিক দায়বদ্ধতা-সহ একাধিক বিভাগে খতিয়ে দেখে এই স্কোর দেয় তারা।

২০১৭ সালে রাঁচির হারডাগে শুরু হয় এই বিশ্ববিদ্যালয়ের যাত্রা। তখন কোর্স ছিল হাতে গোনা পাঁচটি। আজ, মাত্র কয়েক বছরের ব্যবধানে, তারা দাঁড়িয়ে গেছে এক বিশাল স্থায়ী ক্যাম্পাসে—রাঁচির আঙ্গারায় ৩০ একর জমিতে। চালু হয়েছে ৩০টিরও বেশি কোর্স, ছাত্রছাত্রী প্রায় ৪ হাজার। ম্যানেজমেন্ট, ইঞ্জিনিয়ারিং, নার্সিং, ফার্মেসি, কৃষি, ফিজিওথেরাপি, আইন, সাংবাদিকতা—নানাবিধ বিষয়ে পাঠদান হয় এখানে। গবেষণাতেও পিছিয়ে নেই তাঁরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, শিক্ষকরা এখন পর্যন্ত ৭০টি পেটেন্ট ফাইল করেছেন (যার মধ্যে ২০টি ইতিমধ্যেই গ্রান্টেড), পাশাপাশি প্রকাশিত হয়েছে ৮৭৪টি গবেষণাপত্র এবং ৮০৯টি বই বা অধ্যায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকাঠামোও যথেষ্ট উন্নত। রয়েছে অত্যাধুনিক ল্যাবরেটরি, ইনকিউবেশন সেন্টার, সেন্ট্রাল লাইব্রেরি, পলিহাউস, বায়োগ্যাস প্ল্যান্ট, ১০০ কিলোওয়াট সোলার প্ল্যান্ট, বর্ষার জল সংরক্ষণ ব্যবস্থা, JSCA অনুমোদিত ক্রিকেট মাঠ এবং আলাদা হোস্টেল।

ছাত্রছাত্রীদের ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতেও জোর দিচ্ছে তারা। নিয়মিত ক্যারিয়ার ও স্কিল বিল্ডিং ওয়ার্কশপ, ইন্টার্নশিপ ও প্লেসমেন্ট ড্রাইভের মাধ্যমে ছাত্রদের হাতে তুলে দিচ্ছে দেশি-বিদেশি সংস্থার চাকরির সুযোগ। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর মধুলিকা কৌশিক বলেন, “আমরা চাই গুণগত উচ্চশিক্ষা যেন সকলের নাগালের মধ্যে থাকে। সেই দিশাতেই আমরা এগিয়ে চলেছি।” প্রো-চ্যান্সেলর প্রফেসর এস.সি. গার্গ যোগ করেন, “এই স্বীকৃতি আমাদের আরও ভালো কিছু করার অনুপ্রেরণা জোগাবে।” চ্যান্সেলর প্রভাত কুমার ও চেয়ারম্যান হেমন্ত গোয়েলও এই সাফল্যের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মী এবং ছাত্রছাত্রীদের শুভেচ্ছা জানান। এই কৃতিত্ব শুধু ঊষা মার্টিন ইউনিভার্সিটির নয়—পুরো রাজ্যের শিক্ষাক্ষেত্রের জন্যই এক গর্বের মুহূর্ত।

0/Post a Comment/Comments

নবীনতর পূর্বতন