নিউজ অফবিট ডিজিটাল ডেস্ক: দেবী সরস্বতী স্বামী ছিলেন শ্রীবিষ্ণু। আর আরও দুই পত্নী ছিলেন। লক্ষ্মী ও গঙ্গা। গঙ্গা ছিলেন বিষ্ণুর প্রাণপ্রিয়া। নম্র স্বভাবের লক্ষ্মী এতে খুবই দুঃখ পেতেন। কিন্তু প্রকাশ্যে স্বামীকে কিছু বলতে পারতেন না। তবে সরস্বতী কিন্তু সেটা মুখ বুজে মেনে নিলেন না। স্বামীর গঙ্গা প্রেমকে প্রশ্রয় না দিয়ে একদিন উগ্রমূর্তি ধারণ করলেন দেবী সরস্বতী। মুখোমুখি হলেন গঙ্গার। কলহের পূর্বাভাস পেয়ে শান্ত স্বভাবের লক্ষ্মী দুজনের মাঝে এসে দাঁড়ালেন। বোঝানোর চেষ্টা করলেন। এতেই সরস্বতী গেলেন আরও ক্ষেপে। সমস্ত রাগ গিয়ে পড়ল লক্ষ্মীর ওপর। অভিশাপ দিলেন লক্ষ্মী যেন তুলসী গাছে পরিণত হয়। বিনা দোষে এই অভিশাপ লক্ষ্মীই বা সহ্য করবে কেন? তাই তিনিও সরস্বতী কে অভিশাপ দিয়ে নদীতে পরিণত করে দিলেন। লক্ষ্মীর অভিশাপে সরস্বতী আরও ক্ষেপে গিয়ে গঙ্গাকেও অভিশাপ দিলেন নদীতে পরিণত হওয়ার জন্য।
ইতিমধ্যেই সেখানে হাজির হলেন বিষ্ণু। নিজের স্ত্রীদের এসব ঝগড়া-বিবাদ দেখে তিনি সিদ্ধান্ত নিলেন দুই রুদ্রচন্ডী স্ত্রী সরস্বতী ও গঙ্গার সঙ্গে আর ঘর সংসার নয়। বরং শান্ত স্বভাবের লক্ষীই ঢের ভালো। তাই গঙ্গাকে শিবের হাতে আর সরস্বতীকে ব্রম্ভার হাতে তুলে দিয়ে তিনি লক্ষীর সঙ্গেই সুখের ঘর বাঁধলেন।
আরও পড়ুনঃ মানবতার নজির বনবহাল ফাঁড়ির পুলিশকর্মীদের
